Friday 2 June 2017

দাম বাড়বে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক দিগুণ হচ্ছে

Be the first to comment!


দাম বাড়বে মোবাইল হ্যান্ডসেটের
আমদানি শুল্ক দিগুণ হচ্ছে
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সেলুলার টেলিফোন সেট বা মোবাইল ফোন সেটের আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়েছে।
বর্তমানে এ শুল্ক ৫ শতাংশ। এটিকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এর সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট তো রয়েছেই। এর ফলে মোবাইল ফোন সেটের প্রকৃত মূল্য থেকে ২৭ শতাংশ বেশি হবে। বর্তমানে রয়েছে প্রকৃত মূল্য থেকে ২১ শতাংশ বেশি।
করের আওতায় আনা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের মোডেম বা ডঙ্গলও। প্রস্তাবিত বাজেটে সিমট্যাক্স এবং করপোরেট ট্যাক্স আগের মতই রয়েছে। সিম ট্যাক্সের সাথে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস যুক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে মোবাাইল ফোন সেটের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ও কর রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে দেশে মোবাইল ফোন সেট তৈরির সুবিধা বাড়বে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা আমাদের সরকারের অন্যতম উন্নয়ন কৌশল। এ লক্ষ্যে ১৯৯৬ সন হতে আমরা তথ্য প্রযুক্তি খাতের অধিকাংশ পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর রেয়াতি সুবিধা দিয়ে আসছি। ফলে এ প্রযুক্তি দেশে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে।
প্রচুর সম্ভাবনাময় আইসিটি খাত রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখবে। এ খাতে প্রয়োজনীয় শুল্ক-কর প্রণোদনা এবং নীতি সহায়তা প্রদানের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাড এর স্থানীয় সংযোজন ও উত্পাদনকে উত্সাহিত করার লক্ষ্যে এ খাতের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ আমদানিতে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করছি।
অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তিতে ৩৯৭৪ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এদিকে মোবাইল হ্যান্ড সেটের আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করার বিষয়টি ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের পরিপন্থি বিবেচনা করছে মোবাাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যমটব।
অ্যামটবের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবীর এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, এই বাজেট ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ভিশন তার সাথে যায় না। প্রস্তাবিত বাজেট আমাদের হতাশ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল হ্যান্ডসেট সহজলভ্য করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু হ্যান্ডসেট আমদানির উপর শূল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করে গ্রাহকদের জন্য তা আরো দূর্লভ করার চেষ্টা হয়েছে। এটা টেলিকম বিজনেস ফ্রেন্ডলি বাজেট বলা যাবে না। এটি গ্রাহকদের সামর্থের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা দেশের টেলিফোন খাত বিশেষ করে মোবাাইল ফোন শিল্পের উন্নয়নের জন্য যেসব প্রস্তাব রেখে আসছি তার কোন প্রতিফলন এই বাজেটে নেই।

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment